স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুড়িচং সদরের পশ্চিমপাড়া মর্তুজ আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মাছ ব্যবসায়ী সোহেল ও তার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার সোমা (৩৭)। এই বাড়িতে ভাড়া থাকাকালে একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়। বর্তমানে শিশুটির বয়স তিন মাস।
জানা যায়, স্ত্রীকে না জানিয়ে স্বামী সোহেল আবার বিয়ে করে ফেলে। দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকেই প্রথম স্ত্রীকে ভরণপোষণ থেকে বঞ্চিত রেখেছে এবং প্রায় সময় বাড়িতে এসে স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন।তাদের আশে-পাশে ভাড়া থাকতেন ননদ আসমা আক্তার ও তার স্বামী শাহাজাহান। তারাও প্রায় সময় সোমা আক্তারের উপর নির্যাতন চালাতেন। এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বৃহস্পতিবার সকালে টিনসেট ঘরের তীরের সাথে গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার পর থেকে স্বামী সোহেল ও ননদ আসমা আক্তার, স্বামী শাহাজাহান পলাতক রয়েছে। খবর পেয়ে বুড়িচং থানার ওসি ইসমাইল হোসেনের নির্দেশে এসআই নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রির্পোট করেন। স্বামী সোহেল ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের নগরপাড় কালা মিয়ার ছেলে। নিহত সোমা আক্তারের বাড়ি সিলেট সদরের চিকরপাড়া এলাকার মৃত:আশ্রাফ আলীর মেয়ে।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।