উল্লেখ্য গত ১লা মে ফয়েজগঞ্জ সিনিয়র আলিম মাদরাসায় অধ্যক্ষসহ ৪টি পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় অধ্যক্ষ পদে ১০জন, অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ১৪জন, নিরাপত্তা প্রহরী পদে ৪জন ও আয়া পদে ৩জন অংশগ্রহন করেছেন। পরীক্ষা শেষে মাদরাসার গর্ভনিং বডির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য, মাদরাসা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) জিয়াউল আহসান অধ্যক্ষ পদে মাওলানা মুহিবুল্লাহ, অফিস সহকারি পদে এরশাদ হোসেন, নিরাপত্তা প্রহরী পদে শরিফুল ইসলাম ও আয়া পদে আলেয়া বেগম কে ডেকে নিয়ে উত্তীর্ণ ঘোষণা করেন।
এরপরই ৪টি পদে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী, অভিভাবক সদস্য, মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তাদের অভিযোগ উত্তীর্ণরা আগেই প্রশ্ন পেয়ে গেছেন। অধ্যক্ষ পদে উত্তীর্ণ মুহিবুল্লাহ মাদরাসা বোর্ডের উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তার সুপারিশে চাকরি পেয়েছেন। অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে উত্তীর্ণ এরশাদ হোসেন এই মাদরাসায় পড়াকালীন আরবি প্রভাষক কাউছার আলমকে লাঞ্চিত করার ঘটনা ঘটেছিল। নিরাপত্তা প্রহরী পদে পরীক্ষায় প্রথম না হওয়ার পরেও মাদরাসার সভাপতির একক সিদ্ধান্তে শরিফুল ইসলাম কে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ৩ মে (বুধবার) দুপুরে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী জামাল হোসেন, কামরুল হাসান, সালেহ আহমেদ, শাহাদাত, নাছির উদ্দিন লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনে তারা উল্লেখ করেছেন, ১৪জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছে ৭জন। তাদের সবাইকে কম্পিউটার টাইপিং এর ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সবাই টাইপিংয়ে ভাল করেছে। তবে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীসহ কেউই আরবি টাইপিংয়ে ভালো করতে পারেনি। পরবর্তীতে অজ্ঞাত কারনে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীসহ ৩জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয় বাকি ৪জনকে ডাকা হয়নি। এছাড়া অন্য ৩টি পদের রেজাল্ট সবার সামনে প্রকাশ করলেও অফিস সহকারি পদের রেজাল্ট এক ঘন্টা বিলম্ব করে গোপনীয়ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ উত্তীর্ণ এরশাদ হোসেনকে অর্থের বিনিময়ে আগেই প্রশ্ন জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং এরশাদের জমা দেওয়া পরীক্ষার খাতাটির সাথে তার হাতের লেখা যাচাই করা প্রয়োজন।