অনেক দিন হয় আর বৃষ্টি ছোঁয়া হয়নি।
হয়নি নিজের অজান্তেই বৃষ্টিকে ছুঁয়ে দেখা।
বৃষ্টির ধারায় ভিঁজতে ভিঁজতে-
অশ্রু বিসর্জনে আমার বড্ড ভালোই লাগে।
কেননা, বৃষ্টিতে বৃষ্টির জল আর –
আর আমার কান্নার জল মিশে একাকার হয়ে যায়।
সেটা কেবল আমিই জানি।
হ্যা, কেবল আমি – আর কেউ না।
তাই বৃষ্টিকে আমার বড্ড বেশি ভালো লাগে।
অনেক দিন হয় আর পাহাড় দেখা হয়না।
হবেই বা কি করো বলো,
এখন যে আমি একা- বড্ড বেশিই একা।
তুমি পাশে নেই। তাই মনে হয়-
পাহাড়ের বুকে সবুজ নেই,
প্রসোবনে জলের ধারা নেই।
আকাশের বুকে নীল নেই। ঝিলের জলে পদ্ম নেই,
শাপলা শালুক বনে রাজ হংস নেই।
সীমালের বুকে বেগবান সেই ঝরনা নেই।
ঘরের চালে খর নেই- মনের ঘরে মন নেই।
চারদিকে যেন কেবল নেই আর নেই।
এক তুমি-
হ্যাঁ এক তুমি সব কিছু নিঃস্ব আর নেই করে দিলে।
জানো- আজ বহুদিন হয় জোৎস্না দেখা হয়না।
গোধূলি লগ্নে বসে আর গল্প করা হয়না কারু সাথে।
ঝিলের জলে মুক্ত হংস বলার মতো আর-
ডুব সাতারে শালুক তোলা হয়না বহুদিন।
বহুদিন হয় সমুদ্র দেখা হয়না।
সাগরের উত্তাল তরঙ্গের ভয়াল গর্জন-
সমুদ্র তটে বসে গোধূলিতে শোনা হয়না আর।
অনেক দিন হয় সমুদ্র জলে আর নামা হয়না।
ইচ্ছে করে – খুব ইচ্ছে করে তোমাকে নিয়ে-
আবার সুদূরের ঐ সমুদ্র বিলাসে যাই।
ইচ্ছে করে তোমাকে নিয়ে সমুদ্র জলে নেমে-
সাগরের জলে ভালোবাসার খুনসুটি আঁকি।
ভেসে যাই দু’জনে গভীর সমুদ্রের ঐ নীল জলে।
চলো আজ আবার নাহয় দু’জনে-
দু’জনে দু’জনার হয়ে একটু সমুদ্র বিলাসে যাই।
নিজেকে হারাই আবার নতুন করে।