আমি শিল্পী হতে চাই
আমি আমার মা, মাটি, দেশের একটি ছবি আঁকতে চাই।
আমি কবি হতে চাই –
আমি আমার প্রিয় দেশকে নিয়ে একটি কবিতা লিখতে চাই।
আমি অন্দরের সুন্দরের তপস্যায় হতে চাই আত্মহারা
আমি নির্মাণ নহে সৃজন করতে চাই পুনঃ বসুন্ধরা।
আমি দেশের তরে নেতা চাই, অভিনেতা নয়-
ক্ষত বুকে নীরব মুখে চাই শান্তি, নহে ভয়।
আমি বিত্ত চাইনা, চিত্ত চাই, চাই নিত্য সত্য মনোবল,
আমি ভাঙতে চাই কুলাঙ্গার মোসাহেবদের যত কুট শৃঙ্খল।
আমি চাই বুভুক্ষু শিশুর অন্ন সুপ্রসন্ন হাসি ঝিলিক,
কিল মেরে ছুঁড়ে ঢিল, ভাঙতে চাই রুদ্ধ বদ্ধ কপাট খিল।
অঘটন যা ঘটে যেন আঁকা চিত্রপট কোন এক পটুয়ার,
গোল বৈঠক নামে রুদ্ধদ্বার রাখে অমানুষ কিছু জানোয়ার।
ক্ষত প্রলেপে মলম দিতে চিত্রনাট্যে দেখি তদন্ত কমিটি
ঘা না শুকাতেই বেহায়া আর নির্লজ্জ হাসে ঐ মিটিমিটি।
আমি চাই ঐ নির্বোধে যেন তার ঋণ শোধে
ত্রাস, ভদ্রবেশী সন্ত্রাস যেন থাকে চোখ মুদে।
আমি চাই বিদ্বান; না হোক অজ্ঞান বিবেকবোধ হোক জাগ্রত
উন্নত হোক শিরদাঁড়া তাঁর; না যেন হয় ভয়ে বিব্রত।
আমি একটি সবুজ ছবি আঁকতে চাই-
যেখানে সবুজ রবেনা অবুঝ নির্মল হবে দেশমাতা
কৃত্রিম কোন দাবানল দাহ দাউদাউ না জ্বলে সেথা।
আমি চাই নদী নিরবধি ছুটবে আপন গতিতে
জলরাশি না হবে বাসি অদৃশ্য কোন শক্তিতে।
কাজলের কালি নয়নে না মেখে সাদা কাগজে লিখতে চাই,
কালের কালিমা লেপ্টে দিয়ে শুভ্র চাদর আদরে জড়াতে চাই।
অন্ধকারের বিষাদ ঝেরে
বিদায় নিক ঐ কালরাত
ফুটুক পুষ্প সুবাস ছড়ুক
কুসুম বাগে হোক প্রভাত।
আমি সেই দিন হবো ধন্য-
স্বপ্নীল দেশের স্বপ্নময় একটি ছবি আঁকার জন্য।
আমি সেই দিন হবো পুণ্য –
শ্বাশত সুন্দর একটি কবিতা লেখার জন্য।