রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের মুসরাপাড়া ইয়াজপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মনিরুল ইসলামের (৪৫) মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার পাকড়ীর গোরিসার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। এর আগে সকালে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছিলেন।এদিকে চারজন নিহতের ঘটনায় সোমবার রাতে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা হয়েছে। গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে ৭১ জনকে। বাকি ৫০ জন অজ্ঞাত আসামি। এ মামলায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- ইউনুস আলী, রজব আলী, হায়দার আলী, আতাউর রহমান, মঞ্জুর রহমান, ওমর ফারুক ও আনারুল ইসলাম। সোমবার রাতে গোদাগাড়ী থানায় নিহত সোহেল রানার ভাই হৃদয় বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সোমবার সকাল ৯টায় পাকড়ি ইউনিয়নের মুসরাপাড়া ইয়াজপুর গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজশাহী নগরীর ভাটাপাড়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে ছোটন (৪৫), গোদাগাড়ীর বড়গাছী কামারপাড়ার মৃত আলিম উদ্দীনের ছেলে মেহের আলী (৭০) ও তার ভাই নাইমুল (৮০) নিহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরুল ইসলামের (৪৫) মৃত্যু হয়। গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, ইয়াজপুর বিলে সোহেল রানার ১৪ বিঘা জমি মেহের আলী ও নাইমুল দুই ভাই বর্গা চাষ করতেন। ওই জমিগুলো কিছুদিন থেকে নিজের দাবি করে আসছেন পাকড়ি গ্রামের আশিক আলী চান। এ ঘটনায় দুপক্ষের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে তিনজন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়।