তোমাকে নিয়ে কত কত স্বপ্ন বুনি,
একটা ঘর বাঁধবো সেই মেঠোপথ পেরিয়ে
খোলা আকাশের নিচে,
ঘরটা হবে তোমার আমার স্বপ্নপুরী,
ঘরটা হবে বাঁশের বেড়া আর খড়ের ছাউনি
দখিন খিড়কি দিয়ে আসা বাতাসে প্রাণ জুড়াবো,
মাটিতে শীতল পাটি বিছিয়ে বসে বসে করবো গল্প,
খোশগল্প করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে যাবো !
তুমি টের পাবে না হয়তো —
তখনো হয়তো ভরা পূর্ণিমা চাঁদ জোছনা ছড়াবে
মাঝ রাতে যখন ঘুম ভাঙবে তখন
চাঁদের মতনই নিজেকে বিলিয়ে আমার সব —
হারিয়ে যাবো ঝলমলে স্বপ্নের রাজ্যে
তুমি ভাববে অট্টালিকার সুখ
আমি ভাববো বাঁশের বেড়া, খড়ের ছাউনির সুখ
তাল পাতার পাখার বাতাস খুঁজবো,
একেবারে মাটির মানুষ হবো আমি।
মাটির হাঁড়ি পাতিল, মাটির শানকি, মাটির কলসি,
তুমি তখন কাব্যি করে আমাকে ডাকবে মৃন্ময়ী বলে।
জানো ! এতে অনেক সুখ খুঁজে পাই
মাটির কলসির মিঠা পানি যেমন গভীর তৃষ্ণা মেটায়,
আমরা নাহয় ফিরে যাবো পূর্ব পুরুষের অধ্যায়ে,
যদিও এসব নিছকই কল্পনা —
তবে এটাকেই বাস্তবতা ভেবে একটু সুখ খুঁজি ভালোবাসায়
একটু ভুলে থাকবো এই কৃত্রিমতায় ভরা জৌলুসকে।
১৭/০৭/২৩ ইং
নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।