হাসপাতালের দরজায়
দুজনার কাঁধে ভর করা তোমার সর্বশেষ ভুবন বিজয়ী হাসি
যদি কারও হার্ট এ্যাটাকের কারণ হয়
তবে আমি অবাক হবো না মোটেও।
হাসপাতালের বেডে পড়ে থাকা তোমার নিথর দেহ
যদি কারও গদিতে কাঁপুনি আনে,
যদি স্বপ্নাতুর ঘুম ভাঙ্গার কারণ হয় কারও
আমি তাতেও অবাক হবো না মোটে।
তোমার মৃত্যু প্রত্যাশিত ছিলো,
প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি পল অণুপল কাউন্টডাউন করা হচ্ছিলো
কারাগারের কনডেম সেলে সব সময় আমন্ত্রণ করা হয়েছে যমদূতকে,
অবশেষে তিনি এসে তোমাকে ছুঁয়ে গেলেন-
মৃত্যুকে পরাস্ত করার কী অসীম ক্ষমতা তোমার!
এখন দেখা যাক- কে মুক্তি পেলেন
তুমি? না কি তোমার যমদূতের আহ্বায়ক?
কারবালায় যমদূতের সামনে দাঁড়িয়ে
হোসাইনকে দাঁতে দাঁত চেপে হাসতে দেখেছিলাম ফোরাতের তীরে,
আবু হানিফাকে দেখেছিলাম বাগদাদের জেলখানায় মৃত্যকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিতে,
প্রেমিকার মনোরঞ্জনের নেশায় রাজা হিরোডিয়াসের হাত রঞ্জিত হয় পয়গম্বরের রক্তে,
সক্রেটিসের হেমলকের পেয়ালায় জ্বলজ্বল করে বিজয়ের প্রতিচ্ছবি,
হেমলক তবুও সুপেয় হয়ে ওঠে তোমাদের কাছে।
তুমি এমন সাহসী হতে পেরেছো বলেই
তোমার হয়ে কথা বলবে নির্যাতিত বিশ্বের অন্তত আশি ভাগ মানুষ,
কথা বলবে পাখি- গগনের তারা,
কথা বলবে অনাগত শিশু- বিগত আত্মারা,
আচানক দুঃসাহসী হয়ে উঠবে তোমার কবরের মাটি,
সেখান থেকে অবিরাম বিজয়ের আগুন ঝরবে,
তোমার জানাযায় আজ সবাই শপথ নিবে-
আজ কেউ কাঁদবে না একটুও।