ইচ্ছের পাখিরা হতাশায় জেরবার
চারিদিকে বদ্ধ,
রুদ্ধ নিঃশব্দে দাঁড়ায় রুক্ষ পাহাড়,
কেউ নেই কেউ নেই আজ দেখবার,
স্বার্থের হেফাজতে চুপে,চুপে নির্বিচার।
দেখো দেখো ঐ শ্মশান ভিড় জমিয়েছে,
দাঁড়িয়েছে আঁড়ালে কালের সাক্ষী হয়ে,
হাতছানি দিয়ে ঢেউ ডানা ভাঙায় কষিয়েছে,
রুদ্ধ নিঃশ্বাসে কষ্টের খেয়া ক্ষয়ে….
খান খান কলিজা রক্তের ঘাঁ গিনগিন হায়,
বুকফাটা চিৎকার, এলোঢেউ অবন্তী ;
অবনীপতির নির্বিকার চোখ,
দেখো দেখো লাশের গন্ধ শিশুর সাক্ষ্য হয়ে,
কচি ডানার হাতছানিটা ডাঙায় ভাঙিয়েছে।
এ কোন অবরোধ,মহাকাশ কাঁপি ব্যোমের হুঙ্কার,
অবরোহী কোন দানব দেখো গেড়েছে ফাঁদের পাহাড়।
এমন অবনিবনা এ বিশাল অবনির তরে,
অবদ্ধ ঐ শাপদের দল,গজব আসুক,আসুক না!
অবধারনই হোক গজব।
ওরে অবধ্যের দল,এখনি পায়ে পিশে মল,
এই অবিবেক পিশাচর আর যত বেয়াদব,
বাঁধরে কড়সি, কষে দে কড়া জনমের মত রে,
এমন বিবেক কঞ্জুস প্রান বাঁচিয়ে দিস নারে।
জেগে ওঠ সব্ করে রব সব্ এমন কট্টর নিপাত দিতে,
মায়ের বুক আর নয় খালি,কড়কড় কঠিয়া গর্জে তুলি,
সোনামনি মুখ হাসি নে ফিরে,
কত শত ঘর হলো গুরে ছাই,ভিটেহারা আর মাতৃবুক খালি।
চেঁচে কর সব শুন্যরে ওদের, বাঁচিয়ে তোল যতো ভিটে হীন,
আহা!হা লেলিহান লালসায় শেষ হলো যে ওই ফিলিস্তিন।
এ কোন মহাকাশ ফাঁড়ি, কেড়েছে যত ঘর-বাড়ি,
শত পথহারা শিশুর,
আঘাত পেয়েছে দুঃখ করেনি,করেছে বিলীন বাড়ির।
দেখোনি কেউ? কেঁদে কেঁদে দিয়েছে বলে,
মুখখানা লাল করে।
বাড়ি তার গেলো কোথা? শুনে চুপ শত ব্যথা
অসহায়ে মুখ যে তার মলিন।
কোথাও আবার মায়ের আর্তনাদ, মা হারা বাবার বুক জুড়ে,
কান্নার বাতাস হু হু করে বয় পৃথ্বি দুখ সুরে।
চারপাশে কত রাজনীতি আর নেতাদের চাপ দেখে
আমার কলম থমকে দাঁড়াতো কিছুটা বোবা রয়ে,
আজ,কাল নয় একদিন এভাবে ভেবে বেহুশ।
অস্হির মন, অন্যায় চাখন,চাগায়ে কলম তুলে,
পারিনিকো আর, আর নয় চুপ প্রতিবাদের মুলে।
আমি ফিলিস্তিন এখনি ধরে কলমের তলোয়ার,
কষিয়ে আঘাত ইসরায়েলের ওই করি মোরমার।
যদি পারি তো! সামন ধরে এ জীবন্তিকা মুছে দি এখনি,
তোর মৃত রক্ত দিয়ে শেষ যদি হয় এ প্রতিবাদ লেখনি।
প্রতিবাদ হোক,এ ফেরাউন নিস্তার হোক সকলে,
দয়া করো প্রভূ,ফিলিস্তিন কভু,পেরে উঠে সব ধকলে।