“বৃষ্টি মিনা”
কেউ কি আছে করিবে আমায় পরিপূর্ণ বিশ্বাস?
যদি কেউ থাকে তার জন্য বাজি আমার নিঃশ্বাস,
কাউকে বিশ্বাসের আগেই অবিশ্বাসের ভয়
কেউ কি আছেন আমাকে করবে জয়?
সবাই মনে হয় কাছের মানুষ তবুও যে খুব দূরে
ভয়ে দুমড়ে মুছকে যায় দাঁড়াতে পারিনা ঘুরে,
হাসি মুখে থাকি,তবুও হৃদয়ে বেদনার সুর বাঁজে
নতুন রূপে ব্যাথা দিতে কাছের মানুষ নানা রূপে সাঁজে।
আমার হৃদয়ে আঘাতের চিহ্ন
সাধারণ মানুষের থেকে কিছুটা হলেও ভিন্ন,
আমার অন্তরে সুপ্ত প্রতিভার রস
যে কেউ করতে পারবে না তার বস।
হাজারো তারার মাঝে একটি মাত্র চাঁদ
এত সুখী এই ধারায় কে?পরিপূর্ণ সুখ থেকে পড়েনি বাদ?
আমি একবার দেখে মিটাইতে চাই নয়ন ও মনের স্বাদ
খুঁজেছি জীবনে পরিপূর্ণ সুখ সান্নিধ্যে মাতোয়ারা উন্মাদ।
নিজেকে কেউ চিনে যেতে পারে না দুনিয়া ছাড়ি
সবাই শুধু স্বার্থ খোঁজে বানাতে চাই অট্টলিকা বাড়ি,
আমি কাঙ্গালী খুঁজেছি শুধু একজন সুখী মানুষ
যার মানবের প্রতি আছে দরদ মানবতার হুশ।
আমি দেখিনি নিঃস্বার্থে ভালবাসে কেউ
সত্যিকারের দিতে পারে সুখ সান্নিধ্যে ঢেউ,
দেখেছি শুধু অর্থের কাছে মাথা করে নত
তাইতো মানুষের হৃদয়ের সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষত।
আমি হতভাগি খুঁজে চলেছি সেই পথ
দেখি উঠছে নাকি কেউ সুখের যে আছে রথ,
জানিনা পাব কিনা খুঁজে একজন সুখী মানুষ
যার আছে সত্যসন্ধানের মানবতার হুশ।
নাকি ব্যর্থ আমি খুঁজতে খুঁজতে যাব মরে
এই সুন্দর পৃথিবীর থেকে চিরদিনের জন্য ঝরে,
নাকি অপেক্ষায় কেটে যাবে হাজার বছর পেরিয়ে
তারপরে একদিন পিষে মারবে পায়ের তলে মাড়িয়ে।
আমি অবাক চোখে শুধু দেখবো দাঁড়িয়ে
এভাবে কত লোক আমাকে যাবে এড়িয়ে
হয়তো ন্যায্য দাবিতে আমাকে দেয়া হবে তাড়িয়ে
তবুও একদিন শেষ চেষ্টা করব এই ব্যর্থ হাত বাড়িয়ে।