শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম
নীলের অস্পষ্টতায় কাটে
তিন রাত—!
গুটিসুটি মেরে থাকে উদাস মোনাক
দিন তিনেকের শিশু —!
বাবার পায়চারি— খোলা কম্পিত করিডোরে!
কাঁচঘেরা ঘরে কেমন কাটে
রোদ্দুর বিনে—!
খোলা হাওয়ায় আস্তিন ধরে টানে—মেঘদুত!
উত্তরে পৌষালি ঝড় আনে…. দীঘল কালো আঁখি!
আঙ্গুলের অনন্ত গহীন ডুব দেয়
রাতের আঁধারে সদ্য মুক্ত কয়েদির মতো!
ভোরের ধ্বনি প্রতিধ্বনির বক্ররৈখিক
আজান শোনায় কোন গাতক—!
মুহ্যমানা মধ্যরাতের
আরোহী হয়েছিলাম ভ্রাইবেশেনে আমি!
সেদিন সুখবাহী—বেসুখ তিন ধাপে
ভ্রুণের মাত্রাতিরেক জ্বালা দেখে
কসাইয়ের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলাম!
যেমন মরিয়ম ফুলের ঝাড় পানিতে ডুবালে
পৃথিবীতে একটা জীবন্ত শিশু সৌরভ স্নাত
—প্রসব করে!
ঠিক তেমনটা নয় বরং উল্টো হলো!
মনে মনে ভেবেছিলাম হয়তো
জ্যোতিবিদ্যার—রাশিচক্রের বে-মিল!
না, কপ্রিভিতস্কা বাবা নামের মানুষটি
বেশ উদবিঘ্ন—হারানো নেশাকল্পে
সন্তান বাঁচানোর ঘুর্ণনে—!
সেদিন আকাশে জ্বলজ্বল তারা দেখেনি
মেঘদলদের উড়াউড়ি দেখেনি
ভাসেনি সরাচরে—শংখচিল!
লাগেনি গায়ে দক্ষিণা বায়
উত্তরের হাওয়া পুঞ্জচেড়া মেঘের
আনাগোনায় মুখরিত —!
তবে আমি চিনে নিলাম যন্ত্রণার
ভোগতন্ত্রের যাদু—!
আঁধার শাসনে বেড়ে উঠা নেকড়ে
হয়ে উঠে ফেরারি শাবক!
উত্তরসূরির মেলা আয়োজন!
তরুপের তাসের মতো হরতন রুইতন
আর পাঞ্জাতন মেরে….
মন্ত্রবিলাসে লীলায়িত—!
শেষদৃশ্যে কোরাস গেয়ে
যাত্রাদলের পরাজিত দর্শকের ভুমিকা
পালন করিনি বলে— বকের মতো
প্যাকের ফাঁকে এক ঠ্যাং উঁচু করে
ঠাঁই আজও দাঁড়িয়ে আমি!
সাজতন্ত্রের সমুদ্রবিলাসী সংসারে
এক— অনাকাঙ্খিত নবজাতক!
একটা— আর্ক-এঞ্জেল!
একটা— আমলনামা!
একটা— কুরুক্ষেত্র!
কুরুক্ষেত্রের জায়গাটা যার যার তার তার!
শুধু উঁইবনে হুল ফোটানোর ভ্রমরের
অভাব নেই— বরং আছে বেশুমার রকমের!