চির ঋণী যুবক
শাহী সবুর
আমি সেবার কাজের খোঁজে ঢাকায় এলাম একা ,
বনানীতে তোমার সাথে হলো আমার দেখা।
চলতেছিলে রাস্তা দিয়ে
সাথে ছোট বোনটা নিয়ে
আমি তখন তোমায় দেখে সরে দাঁড়াই দূরে,
তুমি আমায় পিছন ফিরে দেখেছিলে ঘুরে।
কি জানি কি ভাবলে মনে একটু দূরে গিয়ে,
আমার কাছে গেলে তুমি বোনটা সাথে নিয়ে,
বড় লোকের সোনার মেয়ে
আমার দিকে দেখলে চেয়ে,
আমি তখন ভয় পেয়ে যাই কি যেন কি বলে,
হৃদয় আমার ধরলো কাঁপন চোখ ভরে প্রায় জলে।
কাছে এসে বললে আমায় কোথায় তোমার বাড়ি,
কার ঠিকানা খোঁজো তুমি বল তাড়াতাড়ি,
ঠিকানাটা ভুলে গেলে
সারা দিনে আর না মেলে
পথে পথে ঘুরবে তুমি সারাটা দিন ধরে,
তবু তোমার লাভ হবেনা অনেক কষ্ট করে।
তোমার কথার জবাব দিতে বুক কেঁপে যায় ডরে,
আপন আমার কেউ থাকেনা ঢাকার শহর পরে,
বেঁচে আছি কোনমতে
ঘুরে বেড়াই পথে পথে,
কাজের খোঁজে আসছি ঢাকায় আমি বেকার ছেলে,
জীবন আমার বেঁচে যেত যে কোন কাজ পেলে।
একটু সময় হয় পরিচয় সেদিন তোমার সাথে,
এক অফিসের ঠিকানাটা দিলে আমার হাতে,
বললে তুমি বুঝায় আমায় চলে যাবে এই ঠিকানায়
টেলিফোনে আমি ডেকে বলে দেব তারে ,
এই ঠিকানায় গেলে তোমার চাকরি হতে পারে।
দুপুর বেলা কষ্ট করে গুলশানেতে গিয়ে,
তোমার দেওয়া কার্ডখানাকে দেখাই তাদের নিয়ে,
ডেকে নিয়ে ভিতর ঘরে
নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করে
চাকরি আমার হয়ে গেল তোমার আশীর্বাদে,
আমি যেন স্বপ্ন যানে পৌঁছে গেলাম চাঁদে।
কর্মগুণ আর শততাটা ছিল আমার মাঝে,
অল্প দিনে সবাই খুশি আমার সকল কাজে,
প্রমোশন হয় ধীরে ধীরে
দেখিনি আর পিছনে ফিরে
গাড়ি বাড়ি টাকা পয়সা সবই আবার আছে
তবু এ মন চিরদিনই ঋণী তোমার কাছে।