আজ দশ ডিসেম্বর বিকেলে শিলচর নিউমার্কেট জনতা লেন সুভাষ কাব্য সাহিত্যে পত্রিকা হাউস মিলনায়তনে গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি শিলচর শাখা আয়োজিত বিজয়ের কবিতা উৎসব’২৩ অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট কবি জ্যোৎস্না পালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শিলচরের জনপ্রিয় বিশিষ্ট সাহিত্যিক সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অভিজিৎ চক্রবর্তী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশের তোহা চৌধুরী, বিশিষ্ট কবি সুমিত্রা চৌধুরী, সাপ্তাহিক যুব দর্পণ সম্পাদক দিলু দাস, কবি বিষ্ণুপদ দাস, কবি পুষ্পিতা দাস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ খান আখতার হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অভিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, শিলচর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করেছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রিয় মানুষ ইন্দিরা গান্ধী এই মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অবদান অনস্বীকার্য। বর্তমান প্রজন্মকে এই দুই মহান নেতার কার্যক্রম, চিন্তা চেতনা, দেশপ্রেম, দুই দেশের বন্ধুত্ব তুলে ধরতে গাঙচিল যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা ধন্যবাদের যোগ্য।
বর্তমান প্রজন্ম জানুক স্বাধীনতা হঠাৎ করে আসেনি স্বাধীনতা আনতে ৩০ লক্ষ শহীদের প্রাণ দিতে হয়েছে যেমন বাংলাদেশের তেমনি ভারতের দশ হাজার সৈনিকের জীবন দিতে হয়েছে। স্বাধীনতা অর্জন করা যতটা সহজ তার থেকে কঠিন হচ্ছে স্বাধীনতা রক্ষা করা। প্রথম অতিথি বারবার ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী অমর হোক এ প্রত্যাশা করেছেন। গাঙচিল আয়োজিত বিজয়ের কবিতা উৎসবের মাধ্যমে সবাই জানুক এ বিজয় অর্জন কতটা কঠিন ছিল।