রাজধানীর মিরপুরে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার বিজয় দিবসের র্যালিতে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলা ও পরবর্তীতে গ্রেফতারের অভিযোগ তুলে তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
শনিবার এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তারা বলেন, ‘বিজয় দিবসের শান্তিপূর্ণ র্যালিতে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ৫৩তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সকাল ৮টায় রাজধানীর মিরপুরে শান্তিপূর্ণ র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালির শেষ পর্যায়ে পেছন থেকে বিনা উস্কানিতে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ যৌথভাবে হামলা চালায়। তাদের এই যৌথ হামলায় ১০ নিরপরাধ ছাত্র আহত হয়েছে, গ্রেফতার করা হয় ১১ জনকে। জাতির এই মহান দিনটিতেও পুলিশ তাদের দায়িত্বহীনতা এবং ছাত্র-যুবলীগ তাদের সন্ত্রাসী আচরণ সংযত করতে পারেনি। বিজয় দিবসের শান্তিপূর্ণ র্যালিতে হামলা ও ছাত্রদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করে বিজয় দিবসের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। বিজয় র্যালিতে হামলা চেতনা ব্যবসায়ীদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচিত করে দিয়েছে। তারা প্রমাণ করেছে, মুখে চেতনার বুলি ওড়ালেও অন্তরে তাদের দেশপ্রেমের লেশমাত্র নেই। এদেশের ছাত্রসমাজ দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যাক এটি তারা চায় না। তারা দেশকে পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ করে রেখেছে।’শিবির নেতারা বলেন, ‘এরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার কথা বলে। অথচ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে ধারণ করে যারা এগিয়ে যেতে চায় তাদের ওপর এই হামলা ও গ্রেফতার চালিয়ে তাদের আসল চেহারা জাতির সামনে উন্মোচিত করেছে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের মদদ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রের সেবকের লেবাস ধারণ করে জনগণের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে পুলিশের অতি উৎসাহী কিছু সদস্য। এমন ঘৃণ্য আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে গ্রেফতার ছাত্রদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। একই সাথে হামলাকারী ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অগণতান্ত্রিক আচরণ বিরত থাকতে হবে।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তি