একদিন সক্রেটিস আগোরার রাস্তার পাশে তার ছাত্রদের নিয়ে দর্শন আলাপ করছে।
কঠিন সব জ্ঞানের আলাপ হচ্ছে। হঠাৎ রাস্তায় ভুস করে বের হলো ঝাকানাকা সুন্দর একটি মেয়ে।
এথেন্সের রাস্তায় কোন মেয়ে আসতে পারে না। মেয়েদের ঘরের বাইরে আসা কড়া নিষেধ। এই মেয়েটি নিষিদ্ধ পল্লীর। সেজন্য বাইরে আসতে পেরেছে। মেয়েটিকে দেখে সক্রেটিসের ছাত্রদের তো মাথা নষ্ট। ঘাড় ঘুরিয়ে চোখ বাঁকিয়ে হাঁ করে রইলো সবাই। পড়ে না চোখের পলক অবস্থা। তখন জ্ঞান-টেন এসবের বেল নেই। এই ছেলেরা সারা মাসে একটাও মেয়ে দেখতে পায় না। হঠাৎ অপ্সরা টাইপের কাউকে দেখে – সবগুলা একসাথে ক্রাশ।
ছেলেদের অবস্থা দেখে মেয়েটির তো বাক বাকুম অবস্থা। সে সক্রেটিসকে চিনে।
সক্রেটিসকে ছোট্ট একটু পিন দিয়ে মেয়েটি বললো, ” দেখো, সক্রেটিস, তুমি তো বিরাট জ্ঞানী। কিন্তু তোমার থেকে আমার শক্তি অনেক বেশী। আমি চাইলে এক্ষুণি তোমার সব ছাত্রকে আঙ্গুলের ইশারায় যেখানে খুশি নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু তুমি চাইলেও আমার কোন অনুরাগীকে নিয়ে আসতে পারবে না। “
সক্রেটিস বললেন, ” কথা সত্য। এটার কারণ হচ্ছে – তুমি ওদেরকে নিয়ে যাবে নিচের দিকে, আর আমি নিয়ে যাচ্ছি উপরের দিকে। নিচে নামা খুবই সোজা, কিন্তু উপরে ওঠার পথ সব সময়ই কঠিন। ভীষণ কঠিন।”