গত ১৮ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় এক সভায় পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা জিয়ার অতীত মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিল জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না; চড়লে ভেঙে পড়বে। আবার তার সঙ্গে কিছু দোসরেরাও…তাদের এখন কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত।’
গত শনিবার দলীয় আরেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দিলেও বাধা দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলামোটরে যে বাধা দেওয়া হয়, সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যত দূর আসতে পারে। কোনো আপত্তি নেই। আমি বসাব, চা খাওয়াব। কথা বলতে চাইলে শুনব।’
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে একজন সাংবাদিক ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে চা খাওয়ার দাওয়াতের কথা বলে প্রকৃত অর্থে সংলাপের দরজা খুলতে চাইছেন কি না। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখুন, এ তো পলিটিক্যাল হিউমার। যেমন বেগম খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়ার কথাটি হিউমার। তারা (বিএনপি) ঘেরাও করবে, আন্দোলন করবে—এটারই জবাবে হিউমারের দিক থেকে বলেছেন। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলেরা ঘেরাও করতে এলে চা খাওয়ালে অসুবিধা কী?