রাজধানীর আজিমপুরে বিকাশ পরিবহনের বাসের মধ্যে এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। পরে ভিকটিমের দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টের ভিত্তিতে ওই বাসের চালক মাহবুবুরকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ থানা। এ ঘটনায় বাসের হেলপার ও প্রধান অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. কুদরত-ই-খুদা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উপপুলিশ কমিশনার বলেন, গত ২৪ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধানমন্ডি থেকে ওই শিক্ষার্থী আজিমপুর যেতে বিকাশ পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। বাসে ওঠার পর গান শুনতে শুনতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ রাত ৯টার দিকে ঘুম ভাঙার পর অনুভব করেন তার শরীরে কেউ হাত দিয়েছেন। এ সময় তিনি পাশের সিটে তাকিয়ে দেখেন বাসের হেলপার বসে আছেন। এ ছাড়া বাস জুড়ে আর কোনো যাত্রী নেই।
কমিশনার আরও বলেন, ওই শিক্ষার্থী বুঝতে পারেন তার সঙ্গে খারাপ কিছু করার পরিকল্পনা করছেন বাসচালক ও হেলপার। নিজেকে বাঁচাতে ভিকটিম বাস থেকে নামার চেষ্টা করলে, হেলপার পেছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরেন ও এক হাতে মুখ চেপে ধরেন। ভিকটিম বাস থামাতে চিৎকার করলে চালক আরও দ্রুতগতিতে চালাতে থাকেন। এক পর্যায়ে আজিমপুর গার্লস স্কুলের কাছে বাসটি কিছুটা গতি কমালে ভিকটিম বাস থেকে লাফ দিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে পুলিশে কোনো অভিযোগ না করে ভিকটিম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করি। পরে বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান করে বুধবার (২৭ জুলাই) আশুলিয়া থেকে বাসচালক মাহবুবুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বাসটির হেলপারকে গ্রেপ্তারের অভিযান পরিচালনা করছি।
এ বিষয়ে লালবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে বলেও জানান উপপুলিশ ডিএমপির কমিশনার।