কক্সবাজারে টেকনাফের নাফনদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ রোহিঙ্গা পিতা-পুত্রের লাশ দুই দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নাফনদীর দমদমিয়া কেয়ারি জাহাজ ঘাট এলাকা থেকে লাশ দু’টি ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।
নিহত পিতা-পুত্র হলেন টেকনাফ উপজেলার জাদিমোরা ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৭ ব্লকের বাসিন্দা নুরুল্লাহ (৩৭) ও তাঁর ছেলে রুহুল আমিন (১৩)।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌ পুলিশের টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ (পরিদর্শক) তপন কুমার বিশ্বাস।
নিহত ব্যক্তিদের স্বজন ও স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পরিদর্শক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, নুরুল্লাহ ও তাঁর ছেলে রুহুল আমিন নাফ নদীতে নিয়মিত মাছ ধরতেন। নাফনদীর কিনারা ঘেঁষে তারা টানা জাল দিয়ে মাছ আহরণ করতেন প্রতিদিন। গত সোমবার সকালে পিতা-পুত্র মিলে মাছ ধরতে যায়। এক পর্যায়ে স্রোতের টানে ছেলে রুহুল আমিন ভেসে যায়। এ সময় বাঁচাতে গিয়ে বাবাও ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন। মঙ্গলবার সকালে স্বজনেরা নৌ পুলিশের কাছে বিষয়টি মৌখিকভাবে অবহিত করেন।
তপন কুমার বিশ্বাস জানান, বুধবার সন্ধ্যায় টেকনাফে নাফ নদীর দমদমিয়া কেয়ারি জাহাজ ঘাটে দুজনের মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন নৌ পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় পিতা-পুত্রের মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে। মৃতদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।