গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দেয় বিএনপি। এরপর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আগামী মঙ্গল ও বুধবার (১২ ডিসেম্বর-১৩ ডিসেম্বর) অবরোধ ডেকেছে বিএনপি। একাদশ দফার এ অবরোধ আগামী মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শুরু হয়ে শেষ হবে বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা। আজ রোববার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এর পর সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন এবং দলের গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে এক-দুই দিন পরপর কখনো অবরোধ, কখনো হরতালের মতো কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে দলটি।
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছে
আজকের সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, তাদের আন্দোলনের কর্মসূচি চলতেই থাকবে।
রিজভী অভিযোগ করেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন তাদের মতো করে করার জন্য চেষ্টা করছে সরকার। এর অংশ হিসেবে গণহারের খেয়ালখুশি মতো গ্রেপ্তার চলছে। নানা নিপীড়ন চলছে।
রিজভী বলেন, এসবের কারণ একটাই, ভোটারদের মনে ভয় ধরানো। এ সরকারের ভোটারের দরকার নেই।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী মতকে সহ্য করে না। তাই আজ ঢাকা ও দেশের অন্যত্র মানববন্ধন কর্মসূচিতে বাধা ও কর্মীদের অকারণে নির্যাতন চালায় সরকারের নানা বাহিনী।