নিজের ধর্মীয় রীতিনীতি বলতে কি বুঝাতে চাইছেন এবং আমার ধর্ম কি হবে সৃষ্টির আগে জানা ছিলো না এটিই মহান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির রহস্য আর এই রহস্য অতি গোপন। আমি আমার ভেতর ও বাহির দুটো সম্পর্কে কিছুই পরিপূর্ণ জ্ঞানী নই! কখন,কি ভাবে,কেমন করে আমার প্রাণবায়ু আসে আর যায় এবং কার ইশারায় নিয়ম মেনে এই কঠিন কর্মযজ্ঞ চলছে আমি কিছুই জানিনা অনুভব করি একজন পরাক্রমশালী মহান সৃষ্টিকর্তা আছেন যিনি আমার দেহ নামক অলৌকিক কলকব্জার মেশিনের মালিক ও পরিচালক। তার ইশারায় সহজ ও সরলভাবে আমি প্রতিনিয়ত এই নশ্বর পৃথিবীতে বেঁচে আছি, আলহামদুলিল্লাহ।
আমি কিন্তু তাকে দেখি না, তিনি দেখতে কেমন,কি তার রূপসৌন্দর্য্য, কি তার বেশভূষা,আহার নিদ্রা কাম কামিনী সুরধ্বনি এসব দেখিনি,তবে অনুভব করি তিনি আর আমি একে অপরের প্রতিকৃতি! তাহার রুপ’ই আমার রুপ, তাহার ছায়া কায়া আমার স্বরুপ, আমার ভেতর বাহির তার মতো,আমার স্বরধ্বনি আহার নিদ্রা সমস্ত কিছুই তার দয়া মায়া অন্তর্যামী ভালোবাসা। কাজেই আমি যা করি মানুষের মতো হয়ে মানুষের মাঝে মানুষের জন্যে তার সদিচ্ছায় করি। একই বৃক্ষের দুটি ডালে আমি আর সে! আমি ভালো কিছু করলে সে আমার মন্দ কিছু করলে সে হয় না আমার এই জন্যে মানুষের মাঝে কুফল সুফল ভুগতে হয়। যেহেতু মালিক হয়ে দেহের মাঝে গোপন হয়ে আমার সাথেই থাকেন চলেন ফিরেন আহার নিদ্রা করেন তাহলে আমি কি তারে ছাড়া আছি? আমি সদাসর্বদা তার সাথেই বসত করি। এই আমি তুমি সে সবাই মানুষ কাজেই প্রত্যেক মানুষ সৃষ্টিকর্তার সাথে সদাসর্বদা সক্রিয় আছেন। সুতরাং কোন মানুষ ধর্মহীন নয়। আল্লাহ সঙ্গে নিয়ে বেঁচে থাকাটাই মানুষের ধর্ম। এই জন্যেই মানুষকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত থেকে মানবধর্ম সঠিক রাখতে হবে তাহলেই মানুষের মালিক যিনি সৃষ্টিকর্তা তিনি খুশি থাকেন এবং ঐ মানুষের সকল স্বর্গীয় শান্তি দান করেন।
আহহা রে মানুষ সৃষ্টি রহস্য জানতে পাগল,কেন হলে? আগে তার তালাশ করতে তোর ভিতর বাহির দেখে ভেবে বল, তোর ধর্ম কি? কে তোর মালিক? কার কাছে যাবি ফিরে? কেমন করে পাবি তারে? এসব সাধন ভোজন অন্তর্যামী দেখে সদা সর্বক্ষণ ভাবিস নে মন তারে বিনা প্রাণ বায়ুর আসাযাওয়া রইবে না এই দেহে! ভুবন তোর হবে মিছে অপবিত্র হলে! সে তোরে করবে বিসর্জন সাথে সাথে তোর হবে মরণ! কাজেই ধর্ম হলো আমার আত্মা, আমি আত্মার সেবায় নিজেকে নিবেদিত করি। আত্মার সাথে আত্মার সম্পর্ক করে স্রষ্টার দিদার পেতে শুদ্ধাচারী হলে সৃষ্টির মাঝে শান্তি বর্ষিত হয়। তখন স্রষ্টা তার সৃষ্টির মাঝে বসত করে। এতেই স্বর্গ সুখী হওয়া যায়। আমাদের সকলকে মানবাত্মা সেবায় নিয়োজিত হতে হবে, মানুষের মাঝে মানুষ সেবে সৃষ্টি কর্তার সান্নিধ্য লাভ করতে হবে। অর্থাৎ, মানবিক হতে হবে তাহলেই মানবধর্মী হয়ে শুদ্ধতা লাভের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি লাভের মাধ্যমে স্বর্গলাভ হবে। আল্লাহ আমাদেরকে মানবিক ও মানবতার সেবায় নিয়োজিত করুন,আমীন।
বনশ্রী,, ঢাকা।
২৭/০৯/২০২৪