পলাশীর আম্রকাননে বাংলা মা নিজের সম্ভ্রম হারিয়ে বিবস্ত্র হয়েছিল ঐ ব্রিটিশদের
রক্তমাখা হাতে।
এরপর দীর্ঘদিন অন্ধকারে কেটে যায় মায়ের মুখের মালিন্যের ছাপটুকু যেনো মুছতেই চাইছিলো না।
দীর্ঘ পথ মাড়িয়ে টুঙ্গিপাড়ার শেখ পরিবারের হাত ধরে মা একটি শিশুকে কোলে পেয়ে উচ্ছাসের হাসি হেসে উঠেন।
সেই শিশুটি আর কেউ নন;
তিনিই বাংলার রূপকার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান।
যেখানে অন্যায় সেখানেই প্রতিবাদ। এক অকুতোভয় বীরের ন্যায় যার পথ চলা।
এই ধন্যেধান্য পুষ্পে ভরা হাজারো সম্পদের পাহাড় হাজারো নদী বহমান যে মায়ের বক্ষে।
সেখানে বার বার শকুন নেমে আসে; খুবলে খায় মায়ের বক্ষপিঞ্জর।
এমতাবস্থায়,
সাহসী নেতার পরিচয় বহন করে দেশকে শকুন মুক্ত করতে ৭ ই মার্চের সেই উদাত্ত ভাষণ—
“এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা। “
এই মুল মন্ত্রকে হাতিয়ার করে ঝাপিয়ে পড়েছিল,
এদেশের দিনমজুর, কৃষক,শ্রমিক ভাইয়েরা।
সাধারণ মানুষ সেদিন হাতিয়ার তুলে নিয়েছিল হাতে। কাঁধে কাঁধ রেখে করেছিল যুদ্ধ।
বিজয় হয়েছিলো বীরের বেশে
তারপর!
কি এমন ঘটলো?
যার জন্য মানুষ উম্মাদ বনে গিয়েছিল।
তারাই তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে দিলো।
এই প্রশ্ন বাঙালির মনে বারংবার ধাক্কা খায় আর উত্তর খুঁজে ফিরে।
এমন একজন সাহসী নেতার পরিণাম এতোটা ভয়াবহ হতে পারে?
তা বুঝতে বুঝতে ইতিহাস আজ বিকৃত প্রায়।
আজও পাইনি এর সঠিক উত্তর।
শুধু শুনেছি এক তরফা রাজনৈতিক জারিগান।
২০/০৮/২২