নীলিমা যেন গাঢ় নীলের উপর সাদা রং,
এ-যেনো কোনো শিল্পীর ক্যানভাসে আঁকা ছবি।
আমি তুরাগ নদীর তরীতে বসে আছি;
নদীর পানির জোয়ার ভাটার সাথে চলছে বাতাসের ভীষণ মাতামাতি!
আহ! সাথে যোগ দিয়েছে কচুরিপানা,
রঙীন প্রজাপতি, সোনালী ফড়িং, ওদের আনন্দে একটুও নেই কমতি।
নেই কোনো ভাবনা ; অথচ আমার ভাবনা ক্লেশ কুঁচকানো ভালে; গালের পরে রোদ্দুর লুটোপুটি খাচ্ছে অবিরত।
গাঙ্গের নয়া পানির গন্ধ, ঢেউয়ে ঢেউয়ে মন মাতিয়ে নীল নীলিমায় করেছে সন্ধি। সন্ধ্যায় সূর্যদেব বসেছেন পাটে,
আলো ছায়ার স্নিগ্ধতায় হারিয়ে গেলাম নদীর তীরের কাশবনে।
কংক্রিটের চার দেয়াল থেকে আজ আমি মুক্ত : কলমি লতা, বেলে হাঁস, মাছরাঙা, আকাশপানে উড়ন্ত পাখিদের ডানা ঝাপটানো নৃত্য, জেলেদের জালে মাছেদের ঘ্রাণ, পানিতে মাঝির বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দ, অচেনা কিশোর কিশোরীদের যুগল, নদী তীরে বটের লাল লাল ফলের নিটোল নীরবতা- আমি এরই মাঝে খুঁজে পাই অবারিত বাংলার প্রাণ।