প্রকাশনার ৫০ ও ২৫ বছর পূর্ণ করা ৬ সংবাদপত্রকে সম্মাননা দিয়েছে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স এসোসিয়েশন-নোয়াব। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান ক্লাবের দ্য ক্রিস্টাল প্যালেস হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। নোয়াব সভাপতি একে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সমপ্রচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। সঞ্চালনা করেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন- সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম। ৫০ বছর পূর্ণ করা পত্রিকার মধ্যে সংবাদের পক্ষে ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, ইত্তেফাকের পক্ষে সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, দৈনিক আজাদীর পক্ষে নির্বাহী সম্পাদক শিহাব মালেক সম্মাননা গ্রহণ করেন। এছাড়া ২৫ বছর পূর্ণ করা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম রঙিন ট্যাবলয়েড দৈনিক মানবজমিন-এর পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও সম্পাদক মাহবুবা চৌধুরী। দৈনিক প্রথম আলো’র পক্ষে সম্পাদক মতিউর রহমান সম্মাননা গ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যম জনগণের কথা বলে। জনসচেতনতা ও জনমত গঠনে কাজ করে, গণতন্ত্রকে সুসংহত করে।জাতি বিনির্মাণে সংবাদপত্রের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৩ বছরের সংগ্রাম ও আন্দোলন এবং সেই উত্তাল সময়ে ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ-সব পথই পত্রিকাগুলো পার করে এসেছে এবং তারা সে সময়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। আজকের দিনেও তাকালে দেখা যাবে এলডিসি থেকে উত্তরণ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথেও সব পত্রিকা সঙ্গে আছে। বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সে অগ্রগতিতে তারাও অবদান রাখছে। তিনি বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সংবাদপত্র জনমত গঠনে ভূমিকা পালন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের সময়ে সংবাদপত্রের পথ চলা সহজ করেছেন। প্রচুর সংখ্যক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে অনুমোদন দিয়ে বর্তমান সরকার মিডিয়াবান্ধব পলিসি গ্রহণ করেছে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সংবাদপত্রের উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাই সংবাদপত্র শিল্পের বিকাশে এর মালিকদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। জনমত গঠন করা, সামাজিক দায়িত্ব পালন করার মতো মৌলিক দায়িত্ব থেকে সংবাদপত্র যেন দূরে সরে না যায়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সমপ্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, মুক্ত গণমাধ্যম আমাদের জন্য খুবই দরকার। একই সঙ্গে দরকার অপতথ্য বন্ধ রাখা। আমরা সমালোচনা শুনতে চাই। আমরা চাই এ ধরনের পরিবেশ বজায় থাকুক। এটা যেন অব্যাহত থাকে। তবে গণমাধ্যমকে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ, যথাযথ তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি না যে, আমাদের কোনো ব্যর্থতা বা ভুল নেই। সংবাদমাধ্যম সরকারের ভুলগুলোকে সংশোধনের জন্য চিহ্নিত করে সরকারকে সাহায্য করতে পারে। তিনি বলেন, মুক্তগণমাধ্যম সূচক নিয়ে আরএসএফ (রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস) যে র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে তাতে ত্রুটি রয়েছে।
২০২৩ সালের রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত পদ্ধতিগত দুর্বলতা এবং ভুল তথ্য চিহ্নিত করে আমরা আরএসএফকে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। আরএসএফ সেসব ভুল স্বীকার ও সংশোধন করেছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে, তাদের স্বচ্ছতার অনেক অভাব রয়েছে। যেমন আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট দেশের গণমাধ্যমের পরিবেশ সম্পর্কে মুষ্টিমেয় কিছু লোককে জিজ্ঞাসা করেন যা মূলত সেই বিশেষ ব্যক্তিদেরই মতামত হবে। এটি পুরো দেশের চিত্র হতে পারে না। তাই সমগ্র দেশের বাস্তব চিত্র পাওয়ার জন্য গবেষণায় একটি সুপ্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি রয়েছে যা অনুসরণ করা প্রয়োজন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এটাও কি সম্ভব যে, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের পরিবেশ আফগানিস্তানের চেয়ে খারাপ? এটি তখনই সম্ভব যখন আপনার পদ্ধতিতে কিছু ভুল রয়ে যাবে।
তিনি বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতে রয়েছে। আমরা এখানকার চ্যালেঞ্জের কথা অস্বীকার করবো না। সরকার সমালোচনাকে সাধুবাদ জানায়, আপনারা সমালোচনা করেন তবে তা যেন বস্তুনিষ্ঠ হয়। তিনি বলেন, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। সরকারের যদি গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের ইচ্ছা থাকতো তাহলে দেশে এত সংবাদমাধ্যম বাড়ানোর অনুমতি দেয়া হতো না। কারণ অধিক সংখ্যায় সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা আরও কঠিন। দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি সংবাদপত্রের স্বাধীনতারই প্রতিফলন।
মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, আজ একটা ঐতিহাসিক দিন আমাদের জন্য। ১৯৯৮ সালে যখন মানবজমিন প্রতিষ্ঠা হয় তখন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল, এ পত্রিকা চলবে কি চলবে না। কারণ এটা ট্যাবলয়েড। বাংলাদেশের মতো একটি কনজারভেটিভ সোসাইটিতে ট্যাবলয়েড চালানো কঠিন। তিনি বলেন, এ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক একজন নারী- মাহবুবা চৌধুরী। তার নেতৃত্বেই আমরা কাগজ বের করেছিলাম। এ যাত্রায় এখন পর্যন্ত তিনি আমাদের সঙ্গে আছেন। অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে আমরা এ পর্যন্ত এসেছি।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে তিনি বলেন, আমার মনে হয় যাত্রাটা খুব কঠিন। লড়াই খুব কঠিন। কারণ বাংলাদেশে অনেক কিছু বলা যায়, আবার অনেক কিছুই বলা যায় না। বলতে গেলেও সমস্যা, না বললেও অসুবিধা। আমরা যাবো কোথায়? এ পরিস্থিতিতে আজকের বাংলাদেশ। তিনি বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতার জন্য আমরা সবাই লড়াই করছি। হঠকারিতা করলে মুক্ত সাংবাদিকতার মূল স্লোগান থেকে আমরা বিচ্যুত হই। সেজন্য সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে। সেটার যদি সুযোগ করে দেয়া হয় এবং যে সমস্ত আইনকানুন করে আমাদের আটকে দেয়া হয়েছে সে সমস্ত আইনকানুন না থাকে তাহলে মনে হয় আমাদের হাতটা খুলে যাবে। আমরা লিখতে পারবো। না লিখতে পারলে পাঠকরা আমাদের পত্রিকা গ্রহণ করবেন না। তাই সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস দরকার।
প্রথম আলো’র সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, সাংবাদিক হিসেবে আমরা এক জীবনে একটি দেশের মানুষকে জেগে উঠতে দেখলাম, রাষ্ট্রের সৃষ্টির সঙ্গে যুক্ত থাকলাম। একটি রাষ্ট্রকে নতুন করে উত্থান-পতনের মধ্যদিয়ে সামনে এগোতে দেখলাম। নানা অসুবিধা ও বাধা-বিপত্তির মধ্যে স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, ঢাকা কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় ১৯৬২ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম ধর্মঘটের স্লোগান দিয়েছিলাম সামরিক শাসন মানি না, গণতন্ত্র চাই, নির্বাচন চাই, মত প্রকাশের স্বাধীনতা চাই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা চাই। আজ ৬২ বছর পরও আমাদের একই দাবি করতে হচ্ছে, করে চলেছি। এখনো বলতে হচ্ছে- অবাধ গণতন্ত্র চাই, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই, মত প্রকাশের স্বাধীনতা চাই, সংবাদপত্রের পূর্ণ স্বাধীনতা চাই।
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম সাধারণত স্বাধীনতা যুদ্ধের যত মূল্যবোধ আছে, তার পক্ষের। বঙ্গবন্ধুর পক্ষের শক্তিই আমরা ধারণ করি। তারপরও এখন পর্যন্ত নয়টি আইন রয়েছে, যেগুলো সরাসরি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অবস্থান করে। আরও তিনটি এখন প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু অর্থ পাচার কিংবা মাদক চোরাচালানের জন্য নয়টি আইন নেই। গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কেন নয়টি আইন? তিনি বলেন, এই যে আইজিপি বেনজীর আহমেদের কুকর্ম, কার্যকলাপ- আমরা কিন্তু মিডিয়াতে জানতাম। কিন্তু রিপোর্ট করতে সাহস পাইনি। আপনি হয়তো কিছু বলবেন না, সরকার হয়তো কিছু বলতো না। ওই ধরনের একজন পাওয়ারফুল আইজিপি একজন রিপোর্টারকে গুম করতে পারতো। সে যদি তখন করতো তাহলে সরকার কি আমার পাশে দাঁড়াতো? ওই সংবাদপত্রের পাশে কি সরকার দাঁড়াতো- না। আমাদের সেই আত্মবিশ্বাস নেই। ইনস্টিটিউশনাল হেড, পার্টিকুলারলি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার যারা প্রধান হন তারা এত ক্ষমতাধর হন যে, তারা কিন্তু সরকারের অজ্ঞাতেই সাংবাদিকতার ওপর হস্তক্ষেপ করেন।
সূচনা বক্তব্যে নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, সামপ্রতিক বছরগুলোয় সংবাদপত্র শিল্প নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছে। প্রযুক্তির নতুন নতুন দিক উন্মোচিত হচ্ছে। এসব প্রযুক্তির অনেক সুবিধা এখনো গ্রহণ করার বাকি আছে। প্রযুক্তির কারণে কিছু সমস্যাও তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, মুক্তগণমাধ্যম সূচকে আমরা কোথায় নেমে এসেছি তা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের। আমরা সরকারের বিপক্ষে না। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করার সময় নোয়াবের পক্ষ থেকে বারবার চিঠি দেয়ার পরও আমাদের অন্ধকারে রেখে আইনটি করা হয়েছে। আরেকটি সমস্যা তৈরি করেছে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট। গত বছর ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ) সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে (সিএসএ) রূপ পেয়েছে। নোয়াব ও সম্পাদক পরিষদ এরই মধ্যে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমরা আশা করছি সরকার এসব উদ্বেগ বিবেচনা করবে এবং প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকতার সমস্যা সমাধানে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে কাজ করবে। তাহলে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারবো। এ কে আজাদ বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়লেও আমাদের উদ্যাপনের অনেক কিছু রয়েছে। আমাদের কয়েকটি সংবাদপত্র ছয়-সাত দশক ধরে জনগণের মুখপত্র হিসেবে কাজ করছে। পাঁচ দশক ধরে বিদ্যমান একটি জাতির জন্য এটি বেশ বড় কীর্তি।
ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সংবাদপত্র আরও এগিয়ে যাবে।
দৈনিক আজাদীর নির্বাহী সম্পাদক শিহাব মালেক বলেন, আমার দাদা যে উদ্দেশ্যে আজাদীর প্রকাশনা করেছিলেন, আমরা তা এগিয়ে নেয়ার প্রত্যাশা করি।
সংবাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নিহাদ কবির বলেন, সংবাদপত্র এখন নানা ধরনের চাপের মুখে রয়েছে। এ পরিবেশের মধ্যে আমাদের গ্রাহকদের প্রকৃত সংবাদ সরবরাহ করতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ ধারা আমরা অব্যাহত রাখবো।
অনুষ্ঠানে কূটনীতিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক।
এ ছাড়া জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন, সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা তপন চৌধুরী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীন, রামরুর সভাপতি প্রফেসর ড. তাসনিম সিদ্দিকী, নির্বাহী পরিচালক ড. সি আর আবরার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আবু আহমেদ, প্রফেসর রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, প্রথম আলো’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ, আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, আইএফসি বাংলাদেশ অফিসের উপদেষ্টা খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মোহাম্মদ এ (রুমি) আলী, এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান, ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।